আমার চেয়ে অনেকটা বড়ো ছিল নমিতাদি; দশ বছর তো হবেই, পনেরোও হতে পারে। কলেজে-ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় আমার ঠাকুর্দা-ঠাকুমার ২০২ রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে থাকত। তার মাকে পিসি বলতাম: আপনের চেয়ে কম কিন্তু গ্রাম-সুবাদের চেয়ে বেশি। রমা-নমিতা-মায়া, তিন বোন, কিন্তু একা নমিতাদি আমাদের সঙ্গে থাকত। সেটাও অতিশয়োক্তি, কারন আমরাই ও বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা ছিলাম না–শনি-রবি বা ছুটিছাটাতে আসতাম।
এখন পশ্চাদ্দৃষ্টিতে বুঝি, নমিতাদির বয়স ছিল আমার আর মায়ের বয়সের মাঝামাঝি, হয়তো আমারই কাছাকাছি, তাই আমার সঙ্গে ভাব ছিল খুব। বহাল তবিয়তে কিনা জানিনা, তবে শুনেছি, সে বেঁচে আছে, আছে কলকাতাতেই, কিন্তু উদ্যোগ করে তার সঙ্গে দেখা করা হয়ে ওঠেনি।
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান